মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথ: ফেরিতে যাত্রী ওঠা বন্ধ, ট্রলার-স্পিডবোটে না নেই

ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথ: ফেরিতে যাত্রী ওঠা বন্ধ, ট্রলার-স্পিডবোটে না নেই

ভোলা প্রতিনিধি ॥ কর্মস্থলে ফিরতে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে ফেরিতে উঠতে না দেওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার, স্পিডবোটে করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। এই সময়ে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে সি-সার্ভে সনদধারী নৌযান ছাড়া অন্য কোনো নৌযানে যাত্রী পারাপার, চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইলিশা ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যাত্রী। ভিড় করেছেন কর্মস্থলে ফেরার জন্য। লক্ষ্মীপুর হয়ে তাঁরা কর্মস্থলে ফেরার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরি না পেয়ে কেউ ট্রলারে, কেউ বা স্পিডবোটে উঠছেন। ট্রলারে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। সময় লাগছে ৩ ঘণ্টা। স্পিডবোটের ভাড়া ৮০০-৯০০ টাকা। সময় লাগে পৌনে এক ঘণ্টা। কষ্ট ও ঝুঁকি বেশি স্পিডবোটে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ২০০-২৫০ যাত্রী রোদের মধ্যে ট্রলারে উঠছেন। চট্টগ্রামে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ঘাটে এসেছেন ভোলার সদর উপজেলার ভেদুরিয়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৩৪)। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ফেরিতে উঠতে দিচ্ছে না, তাই ট্রলারে যাচ্ছেন। কর্মস্থলে ফিরতে হবে। লকডাউনে বাড়িতে বসে খেয়ে পকেটের টাকা শেষ। কাজও নেই। তাই চট্টগ্রামে যাচ্ছেন। কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে। চট্টগ্রামে কীভাবে যাবেন জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ‘কাডা লাইনে।’ সেটা আবার কী—প্রশ্ন করতেই সাইফুল বলেন, ‘যদি খালি ট্রাক পাই, উডি যামু। নাইলে অটো রিকশায়, বারাইছি যহোন, আল্লাহ নিবোই।’ ট্রলারচালকেরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুই ঘাটের ইজারাদারদের ট্রলারপ্রতি ৬০০ টাকা, স্পিডবোট প্রতি ৪০০ টাকা দিতে হচ্ছে। আবার আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের নাম করে একদল দালাল জনপ্রতি ১০০ টাকা নিচ্ছে। যাত্রীরা জানান, ফেরিতে মালবাহী গাড়ি যায়। যাত্রীদের উঠতে দেয় না। যদি যাত্রীদের উঠতে দিত, তাহলে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি কমে যেত। ওঠার জন্য তাঁরা ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন, কিন্তু ফেরিতে যাত্রীদের পুলিশ-কোস্টগার্ডের সদস্যরা উঠতে দিচ্ছেন না। দু-একজন উঠলে পিটিয়ে নামিয়ে দিচ্ছেন। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ছোট ছোট ট্রলারে উঠে উত্তাল মেঘনা পার হচ্ছেন। ফেরির ইজারাদার আক্তার হোসেন বলেন, ইলিশা ফেরিঘাটে নৌ থানা ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। আছে কোস্টগার্ডের টহল। তার মধ্যেই ট্রলারে অবাধে যাত্রী পার হচ্ছে। টাকা দিলে তিনিও ফেরিতে যাত্রী নিতে পারেন, কিন্তু তাতে পোষায় না। ইলিশা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক পারভেজ খান বলেন, গত কয়েক দিন কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা ঘাটে খুব জমায়েত হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ফেরিতে উঠতে দিচ্ছে না। তবে ট্রলার-স্পিডবোটে যাচ্ছে। কেন-কীভাবে যাচ্ছে, তা বিআইডব্লিউটিএ বলতে পারবে। এটা তাদের ব্যাপার। বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে এ সময়ে সি-সার্ভে সনদধারী নৌযান ছাড়া অন্য কোনো নৌযানে যাত্রী পারাপার, চলাচল নিষিদ্ধ। তারপরও মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ছোট ছোট ট্রলারে যাত্রী পার হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনকে বলা ছাড়া তাঁর কিছু করার নেই। এটা নিয়ন্ত্রণ করবে স্থানীয় প্রশাসন। ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন চন্দ্র পাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ট্রলারে-স্পিডবোটে চুরি করে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। আর জনপ্রতি তাদের নামে টাকা ওঠানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, ছোট ট্রলারে অবৈধ যাত্রী পারাপার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com